অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে হাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ আদালতের


বাংলাদেশের বন বিভাগের তোলা এবং প্রকাশ করা এই হ্যান্ডআউট ফটোতে কক্সবাজারের ঈদগাহে একটি এশিয়ান হাতির মৃতদেহের চারপাশে দর্শকদের জড়ো হতে দেখা যাচ্ছে। ৯ নভেম্বর, ২০২১।
বাংলাদেশের বন বিভাগের তোলা এবং প্রকাশ করা এই হ্যান্ডআউট ফটোতে কক্সবাজারের ঈদগাহে একটি এশিয়ান হাতির মৃতদেহের চারপাশে দর্শকদের জড়ো হতে দেখা যাচ্ছে। ৯ নভেম্বর, ২০২১।

হাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের হাইকোর্ট। একইসঙ্গে হাতি হত্যা বন্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুসারে ১২টি এলিফ্যান্ট করিডোরকে সংরক্ষিত করিডোর হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং হাতি হত্যা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

পরিবেশ সচিব, তথ্য সচিব, আইন সচিব, বন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ২১ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রোববার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতি হত্যা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাক্টিভিস্ট আদনান আজাদ, ফারজানা ইয়াসমিন ও খান ফাতিম হাসান।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খান খালিদ আদনান।

তিনি জানান, বন অধিদপ্তর থেকে জরিপ করে বন্য হাতি চলাচলের জন্য ১২টি করিডোর নির্ধারণ করেছে। কিন্তু ওই সব করিডোর এখনও বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুসারে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়নি। যে কারণে বন্য হাতির চলাচলের জায়গায় মানুষজন বাড়ি-ঘর বানাচ্ছে। এতে হাতির চলাচলের বিঘ্ন ঘটায় হাতি সেগুলো ভাঙচুর করে। অন্যদিকে মানুষ বন্য হাতিকে বিভিন্নভাবে হত্যা করছে।

XS
SM
MD
LG