বাংলাদেশে বন্যা উত্তরের জনপদের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কিছু কিছু এলাকায় খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ত্রাণের জন্য রীতিমতো হাহাকার। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় খাদ্য পৌঁছানো যাচ্ছে না।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, খাদ্য সঙ্কট সাময়িক। তবে যাতে সঙ্কট না হয় সে জন্য চাল আমদানি করা হচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, কোথাও খাদ্য সঙ্কট নেই। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, বন্যায় ২১ জেলার ৯৬টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩২ লাখ মানুষ। ১ লাখ ৭২ হাজার ২৭০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
ওদিকে, চাল আমদানিতে নতুন সঙ্কট তৈরি হয়েছে। থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও ভারত চালের দাম টন প্রতি ১০০ ডলার বাড়িয়ে দেয়ায় সরকার-টু-সরকার পর্যায়ে চাল কেনা যাচ্ছে না। থাইল্যান্ডের একটি প্রতিনিধি ঢাকা সফর করে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোন সবুজ সংকেত পাওয়া যায়নি। মজুদ কম থাকায় সরকারি পর্যায়ে ১২ লাখ টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সরকার-টু-সরকার পদ্ধতিতে ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ টন চাল কিনছে সরকার।