বাংলাদেশে বন্যাদুর্গত এলাকায় খাদ্য সংকট তীব্র। সরকারি ত্রাণ নিতান্তই অপ্রতুল। দিনাজপুরে ৬ লাখ বন্যার্ত মাথাপিছু পেয়েছেন ১ কেজি করে চাল। নগদ ১ টাকা ৩৫ পয়সা। এখনও ৫০ হাজার মানুষ ৩০০ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
একদিকে খাদ্য সংকট, অন্যদিকে বিশুদ্ধ পানির অভাব। পেটের পীড়াসহ নানা রোগবালাই। একই চিত্র কুড়িগ্রামের চিলমারিতে। ত্রাণ নেই, ওষুধ নেই, থাকার ঠাঁই নেই। অনেকেই রাত কাটাচ্ছেন বাঁধের ওপর। চিড়া-মুড়ি খেয়ে তাদের দিন কাটছে। সরকারিভাবে ৩৭০ প্যাকেট শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ১৬৯ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হলেও এ নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। দিনাজপুর থেকে স্থানীয় সাংবাদিক শাহ আলম শাহী বলছিলেন, মানবিক দুর্যোগে লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।
রাজশাহীর বাগমারায় ৯২ কোটি টাকার ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। বাগমারা কৃষি অফিস এটা নিশ্চিত করেছে।
ওদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর জানিয়েছে, বন্যায় ২৭ জেলার ১৩৩টি উপজেলা ও ৪৩টি পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে। যা দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে শিশুসহ ৯৩ জনের।