বন্যাকবলিত কমপক্ষে ২৭টি জেলার পানি যখন প্রায় নেমে গেছে, তখন নতুন নতুন বিষয় দেখা দিচ্ছে এর সাথে সাথে অর্থাৎ খাদ্য, এই মুহুর্তের চাহিদাগুলো এবং ভবিষ্যতের দিনগুলো কিভাবে কাটবে এমন বিষয়গুলো। এছাড়া কাঁচা ঘরবাড়িসহ অনেক ঘরবাড়ি ধসে পড়ছে, ভেঙ্গে গেছে। এ অবস্থায় ত্রাণ প্রাপ্তির স্বল্পতা এবং বিতরণে নানা অনিয়মেরও অভিযোগ উঠছে। বাংলাদেশের বরাবরের কর্তৃপক্ষীয় প্রবণতা হচ্ছে-কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরে স্বল্প মেয়াদে ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে দায়িত্ব শেষ করা। সিডর, আইলা, হাওরাঞ্চল ডুবে যাওয়া থেকে শুরু করে এই বন্যা পর্যন্ত ওই একই পরিস্থিতি, একই প্রবণতা। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী, টেকসই কোনো ব্যবস্থা নেয়ার প্রবণতা নেই। এ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন প্রভাবশালী গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডি’র বিশেষ ফেলো এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি মনে করেন, সক্ষমতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা, গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থার কর্মসূচি নেয়া খুবই জরুরি।
ঢাকা থেকে আমীর খসরুর রিপোর্ট।