বিশ্বের অন্যান্য জায়গার মত বাংলাদেশে মঙ্গলবার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়েছে বিশ্ব খাদ্য দিবস।
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা অর্জনের জন্য ক্ষুধার অবসান, খাদ্য নিরাপত্তা এবং উন্নত পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়েছে বলে সরকার এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী স্বাধীনতা উত্তর আমলে যখন বাংলাদেশের খাদ্য শস্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১১০ লক্ষ মেট্রিক টন তা ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বেঁড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৩ লক্ষ টনের ওপর। ঐ হিসেব অনুযায়ী গত কয়েক দশকে শস্য দানা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে আলু, বিভিন্ন সবজি এবং অন্যান্য ফসলের উৎপাদন। মাছ এবং মাংস উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের অগ্রগতি তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশ এখন সামগ্রিক ভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি।
একই সাথে তাঁরা অবশ্য বলেছেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং সর্বস্তরের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিত করা এক বিষয় নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে খাদ্যের প্রাপ্যতা থাকলেও এখনো বেশ কিছু মানুষ খাদ্য সঙ্কটে ভুগছেন। তাদের মতে দারিদ্র এবং আয় বৈষম্যের কারনে দেশের জনসংখ্যার একটি অংশ খাদ্য নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন।
এ বিষয়ে ভয়েস অফ অামেরিকার সাথে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি এবং খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্যের প্রাপ্যতা সম্পর্কে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, এ বিষয়টির সাথে জনস্বাস্থ্য এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের বিষয়টি ওতপ্রোত ভাবে জড়িত থাকায় এ নিয়ে অনেক কিছু করার রয়েছে। তিনি বলেন, ভেজাল এবং বিভিন্ন রাসায়নিক মেশানো খাদ্য পণ্য সম্পর্কে রাষ্ট্র যন্ত্রকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে এবং সেই সাথে আইনের সঠিক ও দ্রুত প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এটা করতে না পারলে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন অধরাই থেকে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।