বাংলাদেশের গুলশান হামলা- যাতে ৫ জন জঙ্গীসহ দেশী-বিদেশী মোট ২৯ জন নিহত হয়েছিলেন- তার এক মাস পুরো হলো সোমবার।
ঘটনার স্বল্পকাল পর থেকেই পুলিশসহ আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনী ‘মূল হোতাদেরসহ জড়িতদের গ্রেফতার সময়ের ব্যাপার মাত্র’ বললেও, এখন বলছে ঘটনার তদন্ত চলছে।
এর মধ্যে ঈদের দিনে শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে; ঢাকার কল্যাণপুরে জঙ্গী সন্দেহে ৯ জন নিহত হয়েছেন। গুলশান ও কল্যাণপুরে নিহত সন্দেহভাজন জঙ্গীদের মরদেহ কোন পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউই নিতে আসেননি। পুলিশ বলছে, গুলশান ও কল্যাণপুরে নিহত সন্দেহভাজন দুই জঙ্গীর পরিচয় এখনো উদঘাটন করা যায়নি।
এসবের মধ্যেই দেশের বিভিন্নস্থানে চলছে জঙ্গীবাদ বিরোধী সভা-সমাবেশসহ কর্মসূচি। সোমবার ঢাকাসহ দেশজুড়ে সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসাসমূহের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক জঙ্গীবাদ বিরোধী মানববন্ধন করেছেন। এতে অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, ‘আমরা জঙ্গীবাদমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই’।
সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাস্থল গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তোরার সামনের সড়কেও অনেকে গিয়েছিলেন শ্রদ্ধা জানাতে, স্মরণ করতে।
পর পর কয়েকটি ঘটনা জনমনে উদ্বেগ আর আতংকের সৃষ্টি করেছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক আফসান চৌধুরী।
এদিকে, গুলশান হামলার পর জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা নিয়ে সোমবার বিকাল থেকে মধ্যরাত ২টা পর্যন্ত ঢাকার যে কোনো স্থানে ঐ সার্ভিস বন্ধ করে দিয়ে একটি মহড়ার কথা জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ তদারকি সংস্থা বিটিআরসি। ঢাকা থেকে আমীর খসরু।