গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে জঙ্গী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস একটি বার্তা এবং ভিডিও প্রকাশ করেছে। বার্তায় গুলশান হামলাকারীদের প্রশংসা করে আরও হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। জঙ্গী তৎপরতার উপরে নজরদারী সংস্থা সাইট ইন্টিলিজেন্স-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আইএস-এর বার্তা এবং ভিডিওতে, তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, সিরিয়ার আর-রাকায় অবস্থানরত তিন যুবকের বক্তব্য প্রচারিত হয়। তারা ভিডিওতে ইংরেজি ও বাংলা কথা বলছিল। এদিকে, বাংলাদেশের পুলিশ এই ভিডিও শেয়ার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে, তবে সত্যতা সম্পর্কে কিছুই বলেনি। শুক্রবারের হামলার পরেও আইএস ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল।
আইএস যে ৫ জনের ছবি হামলাকারী হিসেবে প্রকাশ করেছিল তাদের দুজন রোহান ইমতিয়াজ ও নিব্রাস ইসলামের বাবা পৃথক পৃথকভাবে তাদের সন্তানদের অনৈতিক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মীয়স্বজন, পরিবার এবং জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক কমিটির কর্মকর্তাও রোহানের বাবা ইমতিয়াজ খান বাবুল বলেছেন, তার ভাষায় আমি একজন ব্যর্থ পিতা।
নিব্রাসের বাবা নজরুল ইসলাম এক বার্তায় তিনি তার ক্ষমা প্রার্থনার কথা জানিয়েছেন।
এদিকে, বুধবার দুপুর পর্যন্ত হামলাকারীদের মরদেহ কেউ নিতে আসেনি। মরদেহগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তরের কথা জানানো হয়েছে।
গুলশানের আর্টিজান রেস্তোরার সামনের রাস্তাটি এখনো আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনী কড়া বেষ্টনি দিয়ে রেখেছে। ফুল দিয়ে মানুষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন এখনো। সরিজমিনে গুলশান পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে দেখা যায়, কঠিন-কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনি দিয়ে পুরো গুলশান এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে; পুরো নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। গাড়ি ও ব্যক্তি পর্যায়ে তল্লাশি চলছে। এলাকার রাস্তাঘাট একেবারেই ফাকা ফাকা। বিপনি বিতানগুলো কার্যত ক্রেতা শূন্য। কেউ কথা বলতে চান না; তারপরেও দু’একজন তাদের আতংকের কথাই বলছেন।
পুলিশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং সন্দেহের তালিকায় আরও অনেকে আছে বলে পুলিশ বলছে। ইতালীয় ৯ নাগরিকের মরদেহ দেশে পৌছেছে।
এ সম্পর্কে ঢাকা থেকে আমীর খসরুর রিপোর্ট।