চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।
এরপর ৪৬ জন নতুন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা শপথ নেন। এবারের মন্ত্রিসভায় নতুন মুখের ঝলকানি রয়েছে। ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই ২৫৭টি আসন লাভ করে। মহাজোট মিলে ২৮৮টি আসন। কিন্তু মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের বাইরে কাউকে রাখা হয়নি।
ঘটনাচক্রে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসেন শেখ হাসিনা। যদিও ছাত্র থাকা অবস্থায় রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। ১৯৭৫ সনের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তখন ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন। ছয় বছর দিল্লি ও লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর ১৯৮১ সনের ১৭ই মে তিনি দেশে ফিরে আসেন কঠিন এক রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে। এর আগে তাকে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়।
২১ বছর লড়াইয়ের পর ১৯৯৬ সনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে সক্ষম হন। মাঝখানে পাঁচ বছর বিরতি। দু’বছর সেনা সমর্থিত সরকার। ২০০৮-এর ডিসেম্বরের নির্বাচনে শেখ হাসিনা ভূমিধস জয় পান। বিরোধী বিএনপি ২০১৪-এর নির্বাচন বর্জন করলে তৃতীয় বারের মতো রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনবার বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হন।
ওদিকে পুরনোদের বিদায় দিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করায় আলোচনা যেমন আছে তেমনি সমালোচনাও রয়েছে। বাদ দেয়া সিনিয়র মন্ত্রীদের অনেকেই বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠানে যাননি। মহাজোটের শরিকদেরও অনেকে অনুপস্থিত ছিলেন। এরই পটভূমিতে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার মতে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেন সরকার মিশে না যায় সেদিকে নজর রেখেই এবারের মন্ত্রিসভা। চমক বলুন আর যাই বলুন বাস্তবতা এটাই, যোগ করলেন কাদের।