অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে পারেঃ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব


ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। (ফাইল ফটো)
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। (ফাইল ফটো)

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দিল্লি ফিরে গেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। আজ সকালে এই সৌজন্য সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেছেন, নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে ঢাকা-দিল্লি উপকৃত হতে পারে। কারণ, এটি হবে সবুজ জ্বালানি এবং সস্তাও। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, “বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের ছোট-বড় সকল সমস্যার সমাধান করতে পারে। আমরা চাই এ সমস্যার সমাধান হোক।” প্রধানমন্ত্রীও এতে সম্মত হয়েছেন বলে প্রেস সচিব জানিয়েছেন।

হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের মাধ্যমে নরেন্দ্র মো্দীকে শুভেচ্ছা জানান। শ্রিংলা কভিড-১৯ মহামারীকালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শিলিগুড়ি-পার্বতীপুর, ঢাকা-শিলিগুড়ি এবং ঢাকা-জলপাইগুড়ি রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশও কভিড-১৯ মহামারীর ধকল সামলে উঠে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থার দিকে ফিরছে।” তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তার লুকিয়ে থাকার দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন এবং ভারতীয় স্বীকৃতি তাদের অভিভূত করেছে বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ লোক বিদ্যুতের আওতায় রয়েছে।” যেখানে গ্রিড লাইন নেই সেখানে সরকার সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা অশোক মল্লিক এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন। হর্ষবর্ধন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে দিল্লি ফিরে যান।

XS
SM
MD
LG