অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে নয়া সামুদ্রিক নিরাপত্তা কাঠামো গড়ার প্রস্তাব দিলো ভারত


ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। (ফাইল ফটো)
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। (ফাইল ফটো)

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা মহাসাগর উপকূলবর্তী দেশগুলোর মধ্যে ‘নয়া সামুদ্রিক নিরাপত্তা কাঠামো’ গড়ার জন্য বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশকে প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি গোয়া নৌ-যুদ্ধ কলেজে বাংলাদেশসহ আটটি দেশের নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বার্তালাপে এ প্রস্তাব দেন। এ সম্মেলনে বাংলাদেশের সহকারী নৌ-প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আসফারূল হক উপস্থিত ছিলেন। ভারতের নৌ-প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং, প্রতিরক্ষা সচিব ড. অজয় কুমারসহ মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, মরিশাস, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম নৌ-প্রধান অ্যাডমিরাল মই আঙও উপস্থিত ছিলেন।

দিল্লি থেকে সাংবাদিক গৌতম লাহোড়ি জানান, নয়া প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শ্রিংলা বলেন, এই দেশগুলোর সঙ্গে বহু ক্ষেত্রে নানা ধরনের সহযোগিতার সুফল পাওয়া গেছে। এখন এই সহযোগিতাকে উন্নত করার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি এও বলেন, ‘ভারত প্রয়োজনে নৌবাহিনীর প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করতে প্রস্তুত। ইতিমধ্যে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে নৌ প্রহরার জাহাজ দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সহযোগিতার চুক্তিও হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে উপকূলবর্তী রাডার সংযোগের জন্য সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।’

শ্রিংলা বলেন, ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তা ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। এ জন্য ভারত নজরদারি বাড়ানোর জন্য বিশেষ করে এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে প্রহরা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব ভারতে ইন্দো-প্যাসিফিক নীতির ব্যাখ্যা করে বলেন, এটা অন্তর্মুখী ব্যবস্থাপনা। প্রত্যেক রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা এবং অবাধ নৌ চলাচলের পক্ষে ভারত। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘন করার কারণে সামরিক উপস্থিতি উল্লেখজনকভাবে বাড়ছে। এতে জটিলতাও বাড়ছে। এ কারণে এখন ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোর মধ্যে নৌ সহযোগিতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।

তিনি উপস্থিত সব দেশকে বৃহত্তর ভারত মহাসাগর এলাকার প্রতিবেশী বলে উল্লেখ করেন। যেহেতু সবাই বিমসটেক ও ইন্ডিয়ান ওশেন রিমের সদস্য। তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক সম্পর্কে ভারতের নীতির মূল বিষয় হলো- ‘আসিয়ান কেন্দ্রিক’। এখানে পরে বাংলাদেশের রিয়ার অ্যাডমিরাল আলোচনায় অংশ নেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এ উপলক্ষ্যে সব দেশকে আশ্বস্ত করেন যে ভারতে আগামী বছর পাঁচ বিলিয়ন ভ্যাকসিন উৎপাদিত হবে, তাই প্রতিশ্রুতি মতো সব দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।

XS
SM
MD
LG