রোহিঙ্গা, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ তিনটি বিষয়ে বাংলাদেশকে বার্তা দিয়ে গেলেন লিসা কার্টিস। ডনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা লিসা তিন দিনের এক সফরে ঢাকা এসেছিলেন শুক্রবার। সফর শেষ করে রোববার ঢাকা ছেড়েছেন। অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটান তিনি। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে স্পষ্ট করে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন বরাবরই রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভুতিশীল। আমরা রোহিঙ্গাদের সমস্যা জানি। কি অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে তারা আছে এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ওরা দেশে ফিরতে চায়। কিন্তু কিভাবে? নিরাপত্তা ছাড়া কিভাবে ফিরবে? সম্মানের বিষয়টিও দেখতে হবে। প্রশংসা করলেন বাংলাদেশের। বললেন, বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা নজিরবিহীন। রোহিঙ্গাদের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্রÑ এটাও বললেন ঢাকার কর্মকর্তাদের। বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের তাগিদ দিলেন। রোববার অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়টি খোলাখুলিভাবে উত্থাপন করেন। বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন চায়। শনিবার রাতের দিকে দু’দেশের মধ্যে যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয় সেখানেও লিসা কার্টিস যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মনোভাব তুলে ধরেন। বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসমুক্ত একটা নির্বাচন দেখতে চায়। যে নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ থাকবে। দেশের প্রয়োজনে এটা নিশ্চিত করতে হবে। ধারণা করা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে লিসার দেখা হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। বরং লিসা যখন ঢাকায় তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, আয়নায় নিজের চেহারা দেখুন। অযথা আমাদেরকে উপদেশ দিতে আসবেন না। তিন দিন আগে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিএনপিসহ সব দলকে নির্বাচনে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কামনা করেন। রোববার দুপুরে লিসা কার্টিস প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়টিই প্রাধান্য পায়। ওদিকে ঢাকা ছাড়ার আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে লিসা এক বৈঠকে মিলিত হন।