আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোগ নয়, ত্যাগের রাজনীতি করতে হবে। মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য।
ভাবমূর্তি সংকটে থাকা যুবলীগের নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কি পেলাম, কি পেলাম না, কতটুকু মানুষকে দিতে পারলাম, মানুষের কল্যাণের জন্য কি কাজ করলাম সেটাই হতে হবে একজন রাজনীতিবিদের চিন্তা-ভাবনা। গত তিনমাস আওয়ামী যুবলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব ছিলো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানে দলটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ও পদ-পদবী বাণিজ্য নিয়ে এন্তার অভিযোগ উঠে। এক পর্যায়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গ্রেপ্তার হন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটসহ বেশ কিছু যুবলীগ নেতা। কংগ্রেসে শেখ হাসিনা বলেন, একটা দেশ গড়তে হলে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যুবসমাজের মেধা, তাদের শক্তি, তাদের মননকে কাজে লাগানো। এটাই হতে হবে রাজনীতিবিদদের জীবনের আদর্শ।
‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে একজন রাজনীতিক কিভাবে আদর্শ নিয়ে চলতে পারেন তার জ্বলন্ত উদাহরণ রয়েছে বই দুটোতে। শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতি করে কেউ টাকা বানাতে পারে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী করেও অঢেল সম্পদ হতে পারে। এই টাকা দিয়ে হয়তো জৌলসু করতে পারে। কিন্তু সেটা দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায় না। তাতে সম্মান পাওয়া যায় না। বিরোধী বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কথায় কথায় খালেদা জিয়াকে নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে তুলনা করে। কিন্তু তারা ভুলে যায় ম্যান্ডেলা দুর্নীতি করে জেলে যাননি। আওয়ামী যুবলীগের এই কংগ্রেসে তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির বড় ছেলে অধ্যাপক ফজলে শামস পরশ। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির অধ্যাপক পরশ রাজনীতির বাইরে ছিলেন আগাগোড়াই। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাইনুল হোসেন খান নিখিল।