অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ঢাকা-ওয়াশিংটন পার্টনারশিপ ডায়ালগের প্রস্তুতি চূড়ান্ত


ঢাকা-ওয়াশিংটন পার্টনারশিপ ডায়ালগের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। আগামী ১০ই জুন ওয়াশিংটনে দু’দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা আলোচনায় বসবেন। দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি আলোচনা হয়ে থাকে এই ফোরামে। পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ শহীদুল হক এই সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সংলাপে নেতৃত্ব দেবেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড হেল। প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব আলোচ্যসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে তার অন্যতম হচ্ছে ইরান ও উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গ। ওয়াশিংটনের তরফে ইতিমধ্যেই এই দুটি ইস্যুতে ঢাকার সঙ্গে সুনির্দিষ্ট আলোচনার আগ্রহ ব্যক্ত করা হয়েছে। যদিও এই ইস্যুগুলো নতুন নয়। এর আগেও পার্টনারশিপ ডায়ালগে ওয়াশিংটন বরাবরই ঢাকাকে তাদের পাশে চেয়েছে।

তবে দ্বিপক্ষীয় ওই বৈঠকের এজেন্ডা বা আলোচ্যসূচিতে তৃতীয় কোন দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে আলোচনার প্রস্তাব এবারই প্রথম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পররাষ্ট্র কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কমতি নেই। এ জন্য বাড়তি প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ইরানের ওপর অর্থনীতি ও জ্বালানি অবরোধ আরোপ করেছে।

অন্যদিকে কোরিয়া উপদ্বীপ নিউক্লিয়ার ও বোমামুক্ত করার জন্য উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার অভিযোগে এরই মধ্যে তার দেশের এক কর্মকর্তাকে ফাঁসির দ- দিয়েছে। পার্টনারশিপ ডায়ালগে আবারও বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, উন্নতমানের প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় করার সামর্থ রয়েছে বাংলাদেশের। এর আগে একাধিক বৈঠকে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। গত ৮ই এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-এর সঙ্গে বৈঠকের পর স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে আবির্ভুত হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও দেশটির সুশাসন, স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর জোর দেন।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:00 0:00

XS
SM
MD
LG