সাংবাদিকদের সত্য কথনের কারণে তাঁদের ওপর হামলা, নির্যাতন, এমনকি হত্যার মত ঘটনার প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশসহ সারা সারা বিশ্বে পালিত হয়েছে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস এবং বাংলাদেশে সাংবাদিকতা পেশার ঝুঁকি সম্পর্কে ভয়েস অফ অ্যামেরিকার সাথে কথাবলেছেন দি নিউজ টুডের সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদ। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা অতীতের মত ভবিষ্যতেও তাঁদের
পেশাগত দায়িত্ব নির্ভীক ভাবে পালন করে যাবেন।
ঢাকা থেকে বিস্তারিত জানিয়েছেন সংবাদদাতা জহুরুল আলম।
বিশ্লেষকরা বলছেন বাক স্বাধীনতা এবং মুক্ত সাংবাদিকতার বিষয়টি যে শুধু বাংলাদেশ ও তৃতীয় বিশ্বের অন্যান্যদেশে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে তাই নয় গণতন্ত্রের ধারক বাহক পশ্চিমা দেশগুলোও এখন এ থেকে বাদ যাচ্ছে না। তাঁরা বলছেন সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি এবং মাদক ব্যবসার বিস্তারের প্রভাবও এখন সাংবাদিকতা পেশাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে যে কারনে সাংবাদিক হত্যার তালিকা দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে তাঁরা সম্প্রতি আফগানিস্তানে দুইটি জঙ্গি হামলায় ১০ জন সাংবাদিক নিহত হওয়ার উদাহরণ তুলে ধরেন। আফগানিস্তানে সাংবাদিক হত্যার ঘোটনার আগেই এ বছরের গত কয়েক মাসে বিশ্বের নানা প্রান্তে পেশাগত কাজের জন্য প্রাণ দিয়েছেন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট সিপিজে'র হিসাবে আরও ১৪ জন ।
ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইন্সটিটিউট আইপিআই বলছে ২০১৭ সালে বিশ্বে৮৮ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এবং নিহতদের ৪৬ জনই তাদের লেখনীতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। জাতিসংঘের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংস্থা
ইউনেস্কোর দেয়া এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ২০১২ থেকে ২০১৬-এই পাঁচ বছরে প্রাণ দিয়েছেন মোট ৫৬০ জন সাংবাদিক। ওই সময়ে বাংলাদেশে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ছিল ১০ জন। এছাড়া বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে কালা কানুনের বেড়াজালে পড়ে বহু সাংবাদিক মামলায় জর্জরিত হচ্ছেন এবং অনেকে জেল-জরিমানার শিকার হচ্ছেন।