২০২১ সালে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) ৩,৭০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক হাজার ২৩৫ জন। এরমধ্যে ৬২৯ জন কন্যাশিশুসহ মোট ১,০১৮ জন ধর্ষণের শিকার, ৬২ জন কন্যাশিশুসহ ১৭৯ জন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এবং ২২ জন কন্যাশিশুসহ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ৩১ জন। এছাড়া, ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন সাত জন। সোমবার দুপুরে মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ৯৩ জন কন্যাশিশুসহ ১৫৫ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ১৪ জন কন্যাশিশুসহ ৩৩ জন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। ৬২ জন কন্যাশিশুসহ ৯৫ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এবং পাঁচজন কন্যাশিশুসহ এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২২ জন; এরমধ্যে এসিডদগ্ধের কারণে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে তিন জন কন্যাশিশুসহ ২৩ জন, এরমধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫৩ জন কন্যাশিশুসহ নারী ও কন্যাশিশু অপহরণ হয়েছে ১৮০ জন। এছাড়াও আট জন কন্যাশিশুসহ ১১ জনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। এবং ছয় জন কন্যাশিশুসহ ৪২ জন নারী ও কন্যাশিশু পাচার করা হয়েছে। দুই জনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। ৩২ জন কন্যাশিশুসহ ৪৬ জন উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে, এরমধ্যে একজন কন্যাশিশুসহ উত্ত্যক্তকরণের ফলে আত্মহত্যা করেছেন দুই জন।
একজন কন্যাশিশুসহ যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩৮ জন, তন্মধ্যে ৪৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। ৫৮ জন কন্যাশিশুসহ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২০৮ জন। বিভিন্ন কারণে ১১৪ জন কন্যাশিশুসহ ৪৪৪ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ১৯ জন কন্যাশিশুসহ ৮৭ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৩১ জন কন্যাশিশুসহ ৪২৭জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৪৩ জন কন্যাশিশুসহ ১২১ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনা ঘটেছে ৪ টি। পাঁচ জন কন্যাশিশুসহ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ১১ জন।
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখানের ঘটনা ঘটেছে চারটি। ফতোয়ার ঘটনা ঘটেছে দুটি। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ৩২৭ টি তন্মধ্যে প্রতিরোধ করা হয়েছে ৪৩ টি। ২৩ জন কন্যাশিশুসহ ৬৩ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। এছাড়াও ২৬ জন নারী ও কন্যাশিশু অন্যান্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
উল্লেখ করা যায় যে, সংবাদ পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী গত ৭ ডিসেম্বর করোনাকালীন সময়ে শুধুমাত্র কিশোরগঞ্জ জেলাতেই মাদ্রাসার ২৬০টি ছাত্রীর বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে। গত ৩ অক্টোবর করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘ দেড় বছরে শুধুমাত্র টাঙ্গাইল জেলাতেই ১,২৪২টি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে।