টেকনাফের রহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ২২ নম্বর থেকে গোপনে বের হয়ে ভারত হয়ে নেপাল যাওয়ার পথে দুই রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে বাংলাদেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানার পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসেন। তারা পাটগ্রাম সীমান্তের তিনবিঘা করিডোর হয়ে দহগ্রাম এলাকায় কাটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলো। আটককৃতদের একজন তরুণ আরেক তরুণী। তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই বোন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, গত চার দিন আগে টেকনাফের রহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ২২ নম্বর থেকে গোপনে তারা বের হয়ে আসেন। তাদের মধ্যে একজন মেয়ে আরেকজন ছেলে। তারা মামতো ফুফাতো ভাই বোন। মেয়েটির কিছুদিন আগে সাকের নামের একজনের সাথে বিয়ে হয়েছে। সাকের নেপালে থাকেন। সেই সাকেরের কাছে যাওয়ার উদ্যেশ্যেই তারা পাটগ্রাম সীমান্তে তিনবিঘা করিডোর হয়ে দহগ্রাম এলাকায় কাটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে।
এসময় ওই সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের দেখে ফেলে। পরে তাদের আটক করে। আটকের পর বিএসএফ তাদেরকে আবার বাংলাদেশে পুশব্যাক করেন। পরে তারা পৌরসভা এলাকায় সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করলে স্থানীয় লোকজন পাটগ্রাম পৌরসভার মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইটকে খবর দেয়। পৌরমেয়র সাধারণ লোকজনের সহযোগিতায় তাদের আটক করে। পরে পুলিশ তাদের আটক করে রোববার দুপুরে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পুলিশের কাছে তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক আরো বলেন, দুই রহিঙ্গার দেয়া তথ্য আমরা যাচাই-বাছাই করছি। শরণার্থী শিশিরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের কথার সত্যাতা মিললে ক্যাম্পে ফিরে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। দুই রহিঙ্গা এখন থানা হেফাজতে আছে।