আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত তিনমাস ধরে রাখাইনে ব্যাপকমাত্রায় ধর্ষণসহ যৌন নির্যাতনের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে সরাসরি দায়ী করেছে।
এইচআরডব্লিউ বলছে, ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনকে তারা ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। সংস্থাটির সবশেষ রিপোর্টে এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়। রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৫২ জন রোহিঙ্গা নারীর সাথে সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রণীত রিপোর্টে বলা হয়, এর মধ্যে ২৯ জন বলেছেন তাদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছে। একজন বাদে সবাই জানিয়েছেন যে, তারা গণধর্ষণের শিকার।
গেলো সপ্তাহে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত প্রমীলা প্যাটেন গণধর্ষণ, ধর্ষণ করে হত্যা করাসহ যৌন নির্যাতনের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সরাসরি জড়িত বলে উল্লেখ করেছিলেন।
এদিকে, প্রখ্যাত অভিনেত্রী এবং ইউএনএইচসিআর-এর বিশেষ দূত এঞ্জেলিনা জোলী রোহিঙ্গা নারীদের উপরে যৌন নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। কানাডার ভেনকুয়েভারে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর এক অনুষ্ঠানে তিনি ওই নিন্দা জানান বলে ঢাকায় পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে।