রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ এবং বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের সাথে আলোচনার জন্য বর্তমানে বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রানডি, অভিবাসন সংস্থা আইওএম-এর প্রধান অ্যান্তনিও ভিতোরিন এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি মার্ক লোকক এর সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার পূর্বাহ্নে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং তাদের ভাসানচরে স্থানান্তর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন আলোচ্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করতে চাই। কিন্তু বর্ষায় ভূমিধসে রোহিঙ্গাদের কোন জীবনহানি বা ক্ষতি হলে এর দায়দায়িত্ব এর বিরোধীতাকারীদেরই নিতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্যে এটিও খুজে দেখতে হবে যে আরাকান আর্মি কোন কোন দেশের অস্ত্র-গোলাবারুদ ব্যবহার করে; কারা এর যোগানদাতা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হলে এখানে জঙ্গিবাদের উত্থান হতে পারে।
সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রানডি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য আমরা মিয়ানমার সরকারের সাথে সার্বক্ষণিক কাজ করছি। তবে সংকটটি জটিল। মিয়ানমারের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করলেও বাস্তবায়ন গতি খুব ধীরগতির।