অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা দ্রুত ফিরে আসছে


টানা তিন বছর বাংলাদেশে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় ছিল। নানামুখী সংকটও তৈরি হয়েছিল এ সময়। হলি-আর্টিজানে হামলার পর বিদেশী কূটনীতিকরা তাদের পরিবারকে দেশে পাঠিয়ে দেন। সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতিও পাল্টে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক নানা সংগঠন এখন আস্থা দেখাচ্ছে বাংলাদেশের প্রতি। বিদেশী ক্রিকেট দল বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া দু’বার ঢাকা সফর স্থগিত করে। এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া দলটি বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলছে। ২০১৩ সন থেকে গত বছরের শেষ অবধি সন্ত্রাসী হামলার ছকের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ। গত মাসে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের একটি নিরাপত্তা মহড়া নতুন করে এক বার্তা দেয়। অস্ট্রেলিয়া দলের ঢাকা সফরের প্রাক্কালে এই মহড়া নানাভাবেই আলোচিত হয়। এই মহড়া ছিল জঙ্গিদের যে কোন হামলা মোকাবেলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত। উচ্চশব্দের বন্দুকের গুলির পর জঙ্গিদের একটি গ্রুপ ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের জিম্মি করে। এরপর জিম্মিদের মুক্ত করতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে তলব করা হয়। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে প্যারা কমান্ডোদের একটি ব্যাটেলিয়ান বন্দি খেলোয়াড়দের মুক্ত করতে এগিয়ে আসে। জঙ্গিদের হাত থেকে খেলোয়াড়দের মুক্ত করার পর সশস্ত্র উদ্ধারকারীরা তাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। এরপর কমান্ডোরা স্টেডিয়ামকে সন্ত্রাসীমুক্ত করার মিশন শুরু করে এবং তাতে সফলও হয়। ঢাকার একটি দৈনিক এভাবেই এ মহড়াকে বর্ণনা করেছে।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি আসলেই খারাপ ছিল। ২০১৩ সনের পর থেকে দেশের ভেতরে অনেক স্থানীয় ও বিদেশীদের টার্গেট করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কিছু জঙ্গি সংগঠন এসব ঘটনার দায়ও স্বীকার করে। অনেক ব্লগার, লেখক, প্রকাশককে হত্যা করা হয়। টানটান উত্তেজনার মধ্যে নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে বাংলাদেশী নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বাহিনী। এই সময়ে দেশটির তরফে আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান ও সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ২০১৬ সনের নভেম্বরে ঢাকা আন্তর্জাতিক ফোক ফেস্টিভ্যাল, ২০১৭ সনের এপ্রিলে ইন্টার পার্লামেন্টারি সম্মেলন আয়োজন ছিল একই লক্ষ্যে। গত বছরের অক্টোবরে ইংলিশ ক্রিকেট টিমের ঢাকা সফর স্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিবেশ ফিরিয়ে আনায় কার্যকর সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:00 0:00

XS
SM
MD
LG