রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেয়ার পক্ষে বক্তব্য দেয়ার মাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাথে অং সান সুচির আর কোন পার্থক্য থাকলনা বলে মন্তব্য করেছেন রোহিঙ্গা সংগঠক ও মানবাধিকার কর্মী মুজিব উল্লাহ।
মিয়ানমারে গণহত্যার উপর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার কারণেই মূলত দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সরকারি গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ দেখিয়ে কারাদন্ড দেয়া হয়।
অথচ রয়টার্সের অনুসন্ধানের সত্যতাকে স্বীকার করে নিয়ে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৭ সদস্যকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে সাংবাদিকদের ফাঁসানোকে অযৌক্তিক বলে দাবি করেন মুজিব উল্লাহ।
রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেয়ার পক্ষে সাফাই গাওয়ার মাধ্যমে যেন প্রকৃত মুখোশ উন্মোচন করে দিলেন সুচি।
রোহিঙ্গাদের উপর যে গণধর্ষণ ও গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে তা শুধু বিশ্ববাসী নয়; মিয়ানমারের অধিবাসীদেরও জানতে দেয়া হয়নি। সেখানে রয়টার্সের অনুসন্ধানী রিপোর্ট ক্ষুব্ধ করে তুলেছে মিয়ানমারকে। তাই সংবাদ প্রকাশে সবক’টি পথকে বন্ধ করতেই ২ সাংবাদিককে ফাঁসানো হয়েছে বলে মন্তব্য মুজিব উল্লাহর।
মুজিব উল্লাহ আরো বলেন, এই বক্তব্যের মাধ্যমে ব্যক্তি অং সান সুচি মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রে পরিণত হয়েছেন এবং রোহিঙ্গাদের কাছে সবচেয়ে বড় হতাশার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন।