সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামালের মতে, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র তার নাগরিকদের সমান অধিকার দিচ্ছে না। তাদের মর্যাদারও হানি হচ্ছে। তারা নির্মম অত্যাচার ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অবস্থা দেখে মনে হয়, বাংলাদেশ যেন ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদের দ্বিতীয় ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সুলতানা কামাল বলেন, সংবিধানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা আছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছেÑ একটি বিশেষ গোষ্ঠীর দৃর্বৃত্তায়নের ফলে কখনও কখনও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় কিংবা আজকের রাজনীতির যে বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছে সেটার কারণে বাংলাদেশ যেন ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে।
সুলতানা কামাল বলেন, বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ৩ থেকে ৫টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। গত বছরই কেবল ১ হাজার ৪টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, গত ৩ বছরে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সংখ্যালঘুদের ওপর নানাভাবে হামলা হয়েছে। হত্যা থেকে শুরু করে ধর্ষণ, বাড়ি-ঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, মন্দির-গির্জা-উপাসনালয় ঘিরে ফেলা, হুমকি দেয়া, এমনকি দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
সম্মেলনে বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদের তরফে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনার বিবরণ দেয়া হয়। এতে বলা হয়, ২০১৭ সালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮২ জন খুন হয়েছেন। প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে ২২৮টি। গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে ১৫টি। আর নিখোঁজ হন ২১ জন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্ত বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ক্রমেই সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠছে।