জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে পদ্ধতিগত ব্যর্থতা এবং সাথে সাথে রাখাইনের সহিংসতা বন্ধে পূর্ব-সর্তকতা এবং সময় মতো পদক্ষেপ ও কার্যক্রম গ্রহণে জাতিসংঘের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ।
শনিবার ঢাকায় প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, জাতিসংঘের সদর দফতরে গণহত্যা প্রতিরোধ, যুদ্ধাপরাধ, সুরক্ষার দায়দায়িত্ব শীর্ষক সাধারণ পরিষদের আলোচনায় গুয়েতেমালার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গার্ট রোজেনথালের মিয়ানমার বিষয়ক অতিসাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের উপরে যে বীভৎস সহিংসতা হয়েছে তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। রোহিঙ্গা সমস্যাটি ছিল ব্যাপক ও গভীর, হঠাৎ করেই এটির সৃষ্টি হয়নি। এখানে পূর্ব সতর্কতার চিহৃ প্রাপ্তির কোন ঘাটতি থাকার কথা নয়। কিন্তু মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও প্রতিষ্ঠান পূর্ব-সতর্কতা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছিল ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের ঘাটতি ছিল।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ সদর দফতরে যখন বিশেষ সমর্থন ও ধারাবাহিক সহযোগিতার প্রয়োজন ছিল তাতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদ ব্যর্থ হয়েছে। এর দায় তাদের উপরও বর্তায়।