অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশ আবারো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক-কোটামুক্ত সুবিধা চেয়েছে


ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট কাউন্সিলের তৃতীয় বৈঠকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আবারো শুল্ক এবং কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার চেয়েছে। এর সঙ্গে সেবাখাতে সহযোগিতার ওপর সবিশেষ জোর দিয়েছে।

বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বাণিজ্য সচিব সুভাশিষ বসু। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সহকারি ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ মার্ক লিসকট।

বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক মুক্ত বাণিজ্য নীতি সম্পর্কে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বলা হয়, নীতির কোন পরিবর্তন হয়নি। আগে যা ছিল তাই রয়েছে। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলন পররাষ্ট্র সচিব বলেন, "ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নীতি আমাদের বাণিজ্যকে কিভাবে প্রভাবিত করবে সেটা আমরা জানতে চেয়েছি"।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব শুভাশিষ বসু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি কমে গেছে। এই বাজার দখল করে নিচ্ছে জার্মানী। যুক্তরাষ্ট্র যদি এ বাজার ধরে রাখতে চায় তাহলে রপ্তানি বাড়াতে হবে, শুল্ক কমাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে হবে। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র আইন সংস্কার, শ্রম আইনের সংস্কার ও শুল্ক নীতি বিষয়ে তিনটি উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, টিকফা বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার নেই। শুধুমাত্র কংগ্রেসই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারে।
একাধিক প্রশ্নের জবাবে ঢাকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থগিতকৃত জিএসপি নিয়ে বৈঠকে কোন আলোচনা হয়নি। ২০১৩ সালের ২৭শে জুন যুক্তরাষ্ট্র তাদের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের অবাধ বাজারসুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করে। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।

XS
SM
MD
LG