যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের বৈশ্বিক জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত সদ্য প্রকাশিত ২০১৬ সালের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে জঙ্গী তৎপরতা বিশ্বব্যাপী ৯ শতাংশ কমলেও, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী তৎপরতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
রিপোর্টে বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, ওই সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্সনীতি গ্রহণসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়, আল- কায়েদা ভারতীয় শাখা এবং ইসলামিক স্টেট বা আইএস বেশ কিছু সন্ত্রাসী ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। ইসলামিক স্টেট বা আইএস হলিআর্টিজান হামলাসহ ১৮টি হামলার দায় স্বীকার করে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী তৎপরতাকে কখনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, আবার কখনো স্থানীয় জঙ্গীগোষ্ঠীর কাজ বলে উল্লেখ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের রিপোর্টে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নানাভাবে এবং পদ্ধতিতে বাংলাদেশ অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ২০১২ এবং ২০১৩ সালে সন্ত্রাসবিরোধী ২০০৯ সালের আইন সংশোধন করলেও এক্ষেত্রে নানা সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। রিপোর্টে জঙ্গীবাদে অর্থায়ন বন্ধে বাংলাদেশ নানা সমস্যার মোকাবেলা করছে উল্লেখ করে এসব সমস্যার সমাধানে জোর তাগিদ দেয়ার কথা বলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের রিপোর্টের আলোকে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের ব্যাপকতার কারণ বিশ্লেষণ করেছেন নিরাপত্তা বিষয়ক প্রভাবশালী গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস এ্যন্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সিনিয়র গবেষক এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক শাফকাত মুনীর।