বাংলাদেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যে নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করবে। গণতান্ত্রিক চর্চা কার্যকর থাকবে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস কংগ্রেশনাল কমিটিকে ট্রাম্প প্রশাসনের এ মনোভাবের কথা ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সফরের পর এক সপ্তাহের মধ্যে এলিস ওয়েলস এ মন্তব্য করলেন। ঢাকায় অবস্থানকালে এলিস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে নির্বাচন হওয়ার কথা।
এলিস কমিটিকে জানান, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নাগরিক সমাজের জন্য মুক্ত পরিবেশ ও গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এলিস বলেন, বাংলাদেশে অন্তত ৪০টি হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস ও আল কায়েদা। হলি আর্টিজান হামলার পর দুই দেশের মধ্যকার জোরালো নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে, কমিউনিটি পুলিশিং, অর্থপাঁচার, সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ ও দ্রুত সামরিক অনুশীলন।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্বেও বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানীকারক দেশ। এই দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সহযোগী। শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে এলিস বলেন, কারখানার ভবন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বাংলাদেশ অবশ্য যথেষ্ট উন্নতি করেছে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ৬ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনের বৈশ্বিক মডেল হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। জনস্বাস্থ্যখাতে দেশটির অগ্রগতির মধ্যে নবজাতক মৃত্যুর হার গত ৫ বছরে উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে এনেছে।