বাংলাদেশী কূটনীতিক মো: শাহেদুল ইসলামকে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রেই থাকতে হবে। নিউইয়র্কের কুইন্স সুপ্রিম কোর্টের তরফে শাহেদুল ইসলামের কূটনৈতিক পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। গৃহকর্মীকে নির্যাতন, ন্যায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত ও মানবপাচারের অভিযোগে গত সোমবার তাকে নিউইয়র্কের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ৫০ হাজার ডলার বন্ড দিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি জামিনে মুক্তি পান।
তার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে কিছুটা টানাপড়েন তৈরি হয়। বাংলাদেশ মনে করে ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে শাহেদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বিষয়টি আদালত এবং নিউইয়র্ক পুলিশের। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাপেয়ার্স জোয়েল রিফম্যানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে প্রতিবাদ জানানো হয়। বলা হয়, ১৩ মাস আগে যে লোকটি পলাতক তার কথায় একজন কূটনীতিককে গ্রেপ্তার করা যায় না। রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় শাহেদুল ভিয়েনা কনভেনশনের কোনো সুবিধা পাননি। সরাসরি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগামী ২৮শে জুন ফের তাকে কুইন্স আদালতে হাজির হতে হবে।
ওদিকে, শাহেদুল ইসলামের পক্ষ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত সুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক পাবলিক ডিফেন্ডার অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী আদালতে হাজির ছিলেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ খুবই গুরুতর। কিন্তু ঘটনা সংঘটিত হওয়ার অনেক দিন পর অভিযোগকারী আইনের শরণাপন্ন হয়েছেন। এই সুযোগটি শাহেদুল ইসলাম পেতে পারেন। গৃহকর্মী পলাতক হওয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সময় মত সঠিক পদক্ষেপ নিলে এ ঘটনা এড়ানো যেত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী।