সামগ্রিক নারী জনগোষ্ঠীর সক্ষমতার উন্নয়ন ও অর্জনের উপরেই নির্ভর করে নারীর ক্ষমতায়ন। এই ক্ষমতায়ন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সর্বোপরি রাষ্ট্রে এবং সমাজে তার অধিকার প্রতিষ্ঠার। এসব সূচকেই ক্রমশ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে; এগিয়ে যাচ্ছেন নারীরা।
কিন্তু এতো কিছুর পরেও নারীদের এখনো নির্যাতনের, নিপীড়নের, সহিংসতার, অসাম্যের, অন্যায্যের, অন্যায়ের, অনাচারের, নানা কুসংস্কার আর বন্দি রাখার নানা কৌশলের মুখোমুখি হতে হচ্ছে-প্রতিদিন প্রতিনিয়ত। এমনই এক প্রেক্ষাপটে সবাই মিলে ভাব, নতুন কিছু কর, নারী-পুরুষ সমতার নতুন বিশ্ব গড়- এমন প্রতিপাদ্যকে নিয়ে বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন আর শপথের মধ্যদিয়ে ‘রাতের আধার ভাঙ্গার’ প্রতীকী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘আমরাই পারি’ নামের একটি সংগঠন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বেগম বদরুন্নেসা ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ৫ জন নারীকে সম্মাননা জানানোর এক অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ প্রফেসর আনিসুজ্জামান বললেন, এখনো যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি।শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি বললেন, নারীর ক্ষমতায়নে প্রতিবন্ধকতার কথা। নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি নারীর প্রতি সহিংসতা যেমন বাড়ছে, বাড়ছে বৈরী আচরণও। ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের কর্মকর্তা সাঈদা বিলকিস জানাচ্ছিলেন সেই কথাই।
নারীর ক্ষমতায়নে পরিস্থিতির উন্নয়ন হয়েছে। তবে এখনো নানা বাধা-বিঘ্ন রয়ে গেছে এমন অভিমত বিশেজ্ঞ ও বিশ্লেষকদের। বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব এবং বর্তমানে নারী ও শিশু বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রীতি ইব্রাহীম ভয়েস অব আমেরিকার সাথে এক সাক্ষাতকারে এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
নারী দিবস উপলক্ষ্যে কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, নারী সংহতি, আদিবাসী নারী ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছে।