দুটো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জকে মাথায় নিয়ে বাংলাদেশ পালন করছে বিশ্ব শরণার্থী দিবস। শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ল সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর পক্ষ থেকে প্রতি বছর ২০ জুনকে বিশ্ব শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এবং ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিবসটি বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর যে ৬ কোটি ৫৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত ও গৃহছাড়া হয়ে শরণার্থী হয়েছেন- তাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাহায্যের হাত বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমান সমস্যা রয়েছে দ্বিমাত্রিক। প্রথমত আগে থেকে বাংলাদেশে থাকা মিয়ানমারের তিন লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সাথে নতুন যুক্ত হয়েছেন কম করে হলেও ৭৫ হাজার নতুন রোহিঙ্গা শরণার্থী। বাংলাদেশের জন্য এই বাড়তি চাপসহ অন্যান্য প্রসঙ্গে বিশ্লেষণ করেছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বা আইওএম-এর সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বর্তমানে অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক বিশ্লেষক আসিফ মুনীর।
শুধুমাত্র আটকেপড়া বা আশ্রয়গ্রহণকারী সমস্যাই নয়, বাংলাদেশ মোকাবেলা করছে আরও একটি বড় সমস্যা। আর তাহচ্ছে, জলবায়ু সংক্রান্ত সংকটের কারণে মানুষের বাস্তুচ্যুতি অর্থাৎ শরণার্থী হয়ে যাওয়া। এর বর্তমানে সংকট ভয়াবহ তো রয়েছেই অভ্যন্তরীণভাবে। আর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যত আরও সংকটাপন্ন হবে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞগণ। এ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং সাবেক উপাচার্য আইনুন নিশাত। বিশেষজ্ঞগণ দুটো সংকটকেই দক্ষতা, প্রজ্ঞা ও যোগ্যতার সাথে মোকাবেলার জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এই বলে যে, এ সংকট দীর্ঘায়িত হলে, বাংলাদেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ঢাকা থেকে আমীর খসরুর রিপোর্ট।