অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মানবিক কাজে প্রশংসিত তরুণদের সংগঠন সহমর্মিতা ফাউন্ডেশন


বর্তমানে বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সরকার ঘোষিত লকডাউনে আর্থিকভাবে বিপাকে পড়া নিম্ন আয়ের ৩০০ টির বেশি পরিবারের মাঝে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন পারভেজ ও তার সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক তরুণরা।  তাদের এই কার্যক্রম বর্তমানে চলমান অবস্থায় আছে।    

পারভেজ হাসান একজন তরুণ সমাজকর্মী। বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের প্রাথমিক চাহিদা পূরণে সহযোগিতার জন্য ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন একটি সামাজিক সংগঠন, সংগঠনটির নাম “সহমর্মিতা ফাউন্ডেশন”।

বর্তমানে বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সরকার ঘোষিত লকডাউনে আর্থিকভাবে বিপাকে পড়া নিম্ন আয়ের ৩০০ টির বেশি পরিবারের মাঝে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন পারভেজ ও তার সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক তরুণরা। তাদের এই কার্যক্রম বর্তমানে চলমান অবস্থায় আছে।

শুধু তাই নয়, করোনার প্রথম ঢেউ থেকে এখন অবধি ১০ হাজার পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার পৌঁছে দিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় প্রশংসিত হয়েছে সংগঠনটির তরুণরা।

গত বছর ঘূর্ণিঝড় আম্পানে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের মাঝেও ছড়িয়ে যেতে দেখা যায় সহমর্মিতা ফাউন্ডেশন এর স্বেচ্ছাসেবকদের। জানা যায় এক লাখ মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি, উপকূলীয় অঞ্চলে পানিবন্ধি ১৫ হাজার নারী ও কিশোরীকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্যানেটারি ন্যাপকিন বিতরণ এবং উপকূলীয় অঞ্চলে “হাসির দোকান” এর মাধ্যমে ৩ হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে নতুন পোশাক দেয়া হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

ইতিমধ্যে, সংগঠনটির উদ্যোগে গঠিত হয়েছে “এক টাকার মেডিকেল” নামে একটি স্বাস্থ্য ক্যাম্প। দরিদ্র পরিবারকে চিকিৎসকদের পরামর্শ পাবার সুযোগ এবং বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হয় এই স্বাস্থ্য ক্যাম্প থেকে। বর্তমানে ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালসহ দেশের ৩১ টি জেলায় মানবিক ও সামাজিক কাজ করছে সহমর্মিতা ফাউন্ডেশন।

তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে, সহমর্মিতা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা পারভেজ হাসান জানান, করোনাভাইরাসের কারণে পড়াশোনা থেকে ঝড়ে পড়া স্কুল পড়ুয়া শিশুদের স্কুল খুললে স্কুলে ফেরানোর দায়িত্ব নিতে চায় তারা। সেই সাথে হাতিরঝিলে একটি শেল্টার হোম নির্মাণ করতে চেষ্টা করছেন, যেখানে এতিম অসহায়, যাদের মা বাবা নেই এমন পথশিশুরা পাবে শিক্ষা, অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থান।

XS
SM
MD
LG