অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

লকডাউনেও মানব কল্যানে কাজ করছেন ‘সচেতনতার ফেরিওয়ালা’ সাঈদ রিমন


সাঈদ রিমন পেশায় একজন টেক্সাইল ইঞ্জিনিয়ার। পেশাগত জীবনের দায়িত্ব পালন শেষে শুরু করেন ক্লান্তিহীন অন্য আরেক জীবন। বাংলাদেশে সপ্তাহব্যাপী চলমান লকডাউ্নে তিনি অতি দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য খাদ্য বিতরন, ইফতার সামগ্রী বিতরন, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজিং সামগ্রী বিতরণ করে সামাজিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় তাকে দেখা যায় মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজিং সামগ্রী বিতরণ করতে, মানুষকে সচেতন করতে। বিকেল হলে রিমন শুরু করেন ইফতার সামগ্রী বিতরন, রাত হলে খাদ্য বিতরন।

মানবিক তারুণ্যের মুখপাত্র এই তরুণ কে প্রশ্ন করা হলো, ঝুঁকি নিয়ে ব্যায়বহুল এই কাজটি তিনি করছেন কেন? উত্তরে তিনি জানালেন, মানসিক শান্তি অর্জনের পাশাপাশি সুনাগরিক হিসেবে মানবিক কর্তব্য পালনের জন্য। তিনি প্রত্যাশা করেন, তাকে দেখে অনুপ্রানীত হয়ে যেন আরো কিছু মানুষ তাদের সামর্থ অনুযায়ী এ গিয়ে আসেন।

রিমন বলেন, তার বন্ধু, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অনেকেই তাকে এই কাজে আর্থিক সহযোগিতা করেন। সেই অর্থের সাথে নিজের অর্থ যুক্ত করেই দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই কাজটি। মানুষের উপকার হয়, খুশি হয়, তাদের হাসি দেখি। তারপর হাসি মুখে বাসায় ফিরি।

২০০৯ সাল থেকে বাস, বাস-স্টেশন, রেল, রেলস্টেশন, ফুটপাথ ও ওভার ব্রিজসহ নানা জায়গায় সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে দিতে মানুষের কাছে পরিচিতি পান রিমন । আস্তে আস্তে তার ইতিবাচক উদ্যোগগুলি ছড়িয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। আস্তে আস্তে তিনি সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠেন ‘সচেতনতার ফেরিওয়ালা’ নামে।

মাদক এর কুফল, ছিনতাইকারীর কবল থেকে কিভাবে বাঁচবেন, সড়কে দুর্ঘটনা এড়িয়ে কিভাবে পথ চলবেন -এই রকম বেশ কিছু বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজ করছেন রিমন।

মানুষকে সচেতন করতে বরগুনা, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও নাটোর জেলা পুলিশ রিমন এর নানা বিষয়ে নানা চরিত্রে তোলা বেশ কিছু আলোকচিত্র ব্যবহার করছে।

গত বছর মার্চে বাংলাদেশে যখন করোনার প্রকোপ যখন শুরু হয়, শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তায় কখনো রান্না করা খাবারের প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন রাজধানীর নিরন্ন মানুষের হাতে, আবার কখনও শুকনো খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন অসহায় মানুষের কাছে।

আগামীতেও রিমন সেবা, সহযোগিতা ও ভালবাসা নিয়ে মানুষের পাশেই থাকতে চান এই প্রকৌশলী।

XS
SM
MD
LG