বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর মানব পাচারের সংখ্যা কতো কিংবা এ পর্যন্ত কতোজন বাংলাদেশী মানব পাচার হয়ে বিদেশে চলে গেছেন-এ সব সম্পর্কে কোনোই তথ্যাদি নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে ২০১৪-১৫ সময়কালে অবৈধভাবে জীবনবিনাশী সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা; থাইল্যান্ডে বাংলাদেশীদের গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর যে সব তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়েছে তাতে বলা হচ্ছে- গত ৪ বছরে দেড় লাখ বাংলাদেশী বঙ্গোপসাগর হয়ে, সমুদ্র পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া- বিশেষ করে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্য যাত্রা করেছিলেন। তবে সমুদ্র পথে কতো মানুষের জীবনহানি ঘটেছে, কতোজন এখনো নিখোজ অথবা বিভিন্ন দেশের কারাগারে আছেন-তার প্রকৃত সংখ্যা জানা যাচ্ছে না।
তবে ২৭৩৩ জনকে গত ৫ বছরে পাচারকালে অথবা পাচারের পর বিদেশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সমুদ্র পথে পাচার সংশ্লিষ্ট ২৪২টি মামলাসহ মাত্র সাড়ে তিন হাজার মামলা হয়েছে গত পাচ বছরে। সরকারী সংস্থা চিহ্নিত ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী পাচারকারীদের একজনেরও বিচার হয়নি এ পর্যন্ত। এ সবই মালয়েশিয়াসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে যাবার ঘটনাবলী।
কিন্তু ভ‚মধ্যসাগর পাড়িসহ বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৯৪ হাজার বাংলাদেশী ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রবেশ করেছেন বলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে। কিন্তু বিপদসংকুল ওই পথেও যাবার সময় কতোজন বাংলাদেশীর জীবনহানি হয়েছে; কতোজন বিভিন্ন দেশের জেলে আছেন তার সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
এমনই এক বাস্তবতায় ৩০ জুলাই পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস। বাংলাদেশের বাস্তবতায় ও প্রেক্ষাপটে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা রামরু’র প্রধান ড. তাসনীম সিদ্দিকী।