অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদার জামিন প্রশ্নে সিদ্ধান্ত হয়নি


খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে আদালত কোনো নির্দেশনা দেননি। বিচারিক আদালত থেকে নথি আসার পর সিদ্ধান্ত হবে বলে আদেশ দিয়েছেন। বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি শহিদুল করিমের দ্বৈত বেঞ্চে রোববার দীর্ঘ সময় ধরে জামিন প্রশ্নে শুনানি হয়। শুনানিতে খালেদার আইনজীবী সাবেক এটর্নী জেনারেল এ, জে, মোহাম্মদ আলী আর্জিতে লিপিবদ্ধ ৩৮টি কারণ উল্লেখ করেন। সর্বোপরি তার বয়স ও শারীরিক অবস্থা ও স্বল্প সাজার কারণে জামিন দেয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। বলেন, উচ্চ আদালতে এ ধরনের মামলায় জামিন দেয়ার নজির রয়েছে। এ সময় এ, জে, মোহাম্মদ আলীকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক, হাসান আরিফ সহ একাধিক সিনিয়র আইনজীবী। জামিনের বিরোধিতা করেন এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হলে অনুকম্পা দেখানোর সুযোগ নেই। তাই এটা জামিন অযোগ্য অপরাধ। খালেদাকে জামিন দেয়া যায় না।

গত ২২শে ফেব্রুয়ারি একই বেঞ্চে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে ১৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিভিন্ন আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা রয়েছে। অন্য কোনো মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

উল্লেখ্য, ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদ- দেন। এছাড়া খালেদার ছেলে তারেক রহমানসহ অপর ৫ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছরের জেল ও প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

please wait

No media source currently available

0:00 0:00:58 0:00

XS
SM
MD
LG