সতেরো বছরের এক ছেলের ফেসবুকে এক বির্তকিত পোষ্টকে ঘিরে রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাদুরিয়া বসিরহাটে সাম্প্রদায়িক বিবাদের জেরে যে অশান্তির আবহ তৈরী হয়েছে সেই বসিরহাটে পরিস্থিতি কেন্দ্রীয়স্তরে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যাওয়ার পথে আজ গ্রেফতার হলেন বিজেপি'র ৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
দলে ছিলেন তিন সাংসদ মীণাক্ষী লেখি, সত্যপাল সিংহ, ওম মাথুর। আজই সকালে শহরে আসনে তাঁরা। বসিরহাটে যাওয়ার পথে মাইকেলনগরে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। পরে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। উল্লেখ করা যেতে পারে গতকালও বাম, বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে বসিরহাটে যেতে দেওয়া হয়নি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বসিরহাটে না যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আজ বসিরহাটে যাওয়ার চেষ্টা করে বিজেপি'র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কিন্তু তাঁদেরও আটকে দেয় পুলিশ।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে শহরে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজেপি'র ধিক্কার মিছিল বের হয়। মধ্য কলকাতার মুরলীধর সেন লেনের সদর দফতর থেকে মিছিল যায় ধর্মতলায় ওয়াই চ্যানেলে। মিছিল শেষে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবিতে বিজেপি'র রাজ্য প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যান।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে গত এক সপ্তাহ ধরে যে ব্যাপক হাঙ্গামা চলেছে, তাতে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে, ধর্ম বা দলীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে বাছবিচার না করার কড়া নির্দেশ দিয়েছে সরকার।