ইকুয়েডর সফরে গিয়ে বুধবার ভাষণ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন । ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বে থাকা ঐ অঞ্চলের গণতন্ত্রের বাধাসমূহের ওপর জোর দিচ্ছেন তিনি। এরপর তিনি কলম্বিয়া সফর করছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে কতোটা অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং দায়িত্বশীল হতে হয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং পরিবেশ নিরাপত্তায় জোর দিয়ে কিভাবে অর্থনৈতিক নীতিসমূহ বাস্তবায়ন করা যায়, ব্লিংকেনের বক্তব্যে তা উঠে আসবে।
গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার বিষয়গুলো তুলে ধরার পাশাপাশি ব্লিংকেনের সফরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য অভিবাসন। বোগোটায় তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে মানব অভিবাসন বিষয়ক একটি বৈঠকের নেতৃত্ব দেবেন।
মঙ্গলবার ইকুয়েডরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরিসিও মন্তালভোর সঙ্গে আলোচনার সময় ব্লিংকেন বলেন ইকুয়েডরসহ, যেখানে হাজার হাজার কলম্বিয়ান বছরের পর বছর বসবাস করছে, এই গোলার্ধের সর্বত্র অভিবাসন একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ।
ব্লিংকেন সংবাদদাতাদের বলেন, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আমি কাল কলম্বিয়া যাচ্ছি। সেখানে আমরা এইগোলার্ধে আমাদের অধিকাংশ সতীর্থদের সঙ্গে মিলিত হবো। এই সময়ে সবচেয়ে জরুরী বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবো, যেগুলো সত্যিকারভাবেই আঞ্চলিক বিষয়, যেনো সমন্বিত পদক্ষেপ ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দায়িত্ব নেয়া সম্ভব হয়”।
ব্লিংকেনের ইকুয়েডর যাওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো মাদক অপরাধ দমনে অভিযানের লক্ষ্যে ৬০ দিনের জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার তাঁদের সাক্ষাৎ হয় এবং ব্লিংকেন বলেন লাসো তাঁকে নিশ্চিত করেন এই বলে যে দেশের সংবিধান অনুসারে ইকুয়েডর সরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তুলে ধরবে।
ইকুয়েডরের কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির প্রশংসা করেন ব্লিংকেন।
(প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেয়া)