বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে গণতন্ত্রকে নিত্যদিনের অনুশীলণে পরিণত করার অঙ্গীকার করেছে। বলা হয়েছে, সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে এই ইশতেহার ঘোষণা করেন। বলেন, ক্ষমতায় গেলে কারো ওপরই কোনো প্রকার প্রতিশোধ নেয়া হবে না।
ইশতেহারে বলা হয়েছে, পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান করা হবে। মন্ত্রিসভাসহ প্রধানমন্ত্রীকে সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা হবে। বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নেয়া হবে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে শর্তসাপেক্ষে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। জাতীয় সংসদকে সকল জাতীয় কর্মকা-ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হবে। সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে। একদলীয় শাসনের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করা হবে। বিডিআর হত্যাকা-ের এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি সংক্রান্ত সকল অনুসন্ধান রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। ইশতেহারে জাতীয় নেতৃবৃন্দের আপত্তিকর সমালোচনা রোধে সহিষ্ণুতার সংস্কৃতি উৎসাহিত করার কথাও বলা হয়েছে। দেশ রক্ষা, পুলিশ ও আনসার ছাড়া শর্ত সাপেক্ষে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোন সময়সীমা থাকবে না। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। কারো কন্ঠরোধ করা হবে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে। সকল মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে। পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, অন্য কোন রাষ্ট্রের জন্য নিরাপত্তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোন কর্মকা-কে কোন জায়গা দেবে না।
ওদিকে রিট খারিজ হয়ে যাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারলেন না। বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক বেঞ্চ খালেদার আইনজীবীদের আবেদন তিনটি খারিজ করে দেন। এ বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তারা যে আবেদন করেছিলেন তাও খারিজ করে দেন বিচারক। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম নূরুল হুদা লেভেল ফিল্ড নেই সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্যকে ব্যক্তিগত ও অসত্য বলে নাকচ করে দিয়েছেন।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী