মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৃটেনকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী রূপরেখা কী হবে তা অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে তারা বৃটেন থেকে ব্যবসাপাতি ঘুটিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাবেন। কারণ তাদের হাতে অপেক্ষা করার মতো এতো সময় নেই।
নিউ ইয়র্কে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা এ সতর্কবার্তা দেন। ডেইলি টেলিগ্রাফ বৈঠকের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মার্কিন ভিত্তিক করপোরেশনগুলোর কর্মকর্তারা হতাশা ব্যক্ত করেছেন। কারণ ব্রেক্সিট পরবর্তী পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট। টেরেসা মে’র সঙ্গে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গোল্ডম্যান স্যাশ, মরগান স্টানলে ও ব্লাক রকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বড় মাপের কর্মকর্তারা।
টেরেসা মে বৈঠকে ব্রেক্সিট পরবর্তী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৃটেনের সমঝোতা বা বোঝাপড়া কেমন হবে তা খোলাসা করেননি। বরং তিনি বলেছেন, জাতীয় স্বার্থের অনুকূলে একটি চুক্তি করবেন। উল্লেখ করা যায় যে, ইতিমধ্যেই বৃটেনে আমেরিকার বিনিয়োগকারী ব্যাংক মরগান স্টানলে লন্ডন থেকে তাদের ২০০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ডাবলিন ও ফ্রাঙ্কপুটে স্থানান্তরের ইংগিত দিয়েছে। ওদিকে, অবাধ চলাচল ও একক বাজার সুবিধা সংক্রান্ত বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে জার্মানি ও ফ্রান্স। জনসন বলেছিলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল নীতিতে অবাধ চলাচল ও বাজার সুবিধার মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। এর জবাবে জার্মানি ও ফ্রান্স বলেছে, তারা বরিস জনসনকে লিসবন চুক্তির একটি কপি পাঠিয়ে দেবে। তিনি যেন, তা পড়ে দেখেন। লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট-