অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সংযুক্ত আরব আমিরাত ব্রিটিশ ছাত্রকে কারাদন্ড দিয়েছে : ব্রিটেনের তীব্র প্রতিবাদ


ম্যাথিউ হেজেস ও তার স্ত্রী
ম্যাথিউ হেজেস ও তার স্ত্রী

সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি আদালত একজন ব্রিটিশ ছাত্রকে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য কারাদন্ড দেওয়ায়, ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে পাল্টা গুরুতর কুটনৈতিক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে।

৩১ বছর বয়সী ম্যাথিউ হেজেস’এর এই কারাদন্ডে স্পষ্টই ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেরেমি হান্ট অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন । তিনি বলেন যে দশদিন আগে সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্রে তাঁর সফরের সময়ে এই ছাত্রটিকে মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে তাঁকে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল।

Jeremy Hunt, UK FOREIGN MINISTER
Jeremy Hunt, UK FOREIGN MINISTER

আদালতের এই রায় সম্পর্কে জেরেমি হান্ট বলেন, আমরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন প্রমাণই পাচ্ছি না। তারা যদি এর নিস্পত্তি করতে না পারে, তা হলে গুরুতর কুটনৈতিক পরিণতি হতে পারে। এই ঘটনা উপসাগরীয় রাষ্ট্রটির সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ককে সংকটে ফেলেছে ।

গতকাল বুধবার ব্রিটেনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র , হেজেসকে ৫ মিনিটের জন্য আদালতে হাজির করে এই শাস্তি ঘোষণা করা হয়। তাকে ৫ই মে দুবাই বিমান বন্দরে আটক করে ইউএই ‘র বিরুদ্ধে গুপ্তচরের কাজ করার অভিযোগ করা হয়। কর্তৃপক্ষ বলছে ব্রিটেনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যায়ের পিএইচডি’র ছাত্র তার থিসিসের জন্য, আরব বসন্তের পর উপসাগরীয় রাষ্ট্রটির নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ নীতি নিয়ে যে গবেষণা করছিল তা অজুহাত মাত্র । আসলে একটি বিদেশি সংস্থার হয়ে নজরদারি চালানোই ছিল মূল উদ্দেশ্য ।

ডারহাম ইউনিভার্সিটি এই অভিযোগ পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছে। তার স্ত্রী ড্যানিয়েলা টাইডাও, যিনি ঐ সময়ে আদালতে ছিলেন, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে ব্রিটিশ কটনীতিকরা যে ভাবে এ বিষয়ে কাজ করেছেন তাতে তিনি বিতৃষ্ণ বোধ করছেন।

তিনি অভিযোগ করেন যে হেজেসকে পাঁচ মাস একা একটি কক্ষে বন্দি রাখা হয় , তাকে নানান রকম মাদক দ্রব্য সেবন করানো হয় এবং খুব সীমিত ভাবে ব্রিটিশ কুটনীতিকদের সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়।

XS
SM
MD
LG