২০১৫ সালে ইরান ও ৬টি বিশ্বশক্তির মধ্যে যে পারমাণবিক চুক্তি হয়, তাতে আমেরিকার সংশ্লিষ্টতা বজায় রাখার লক্ষ্যে, ট্রাম্প প্রশাসনকে সম্মত করার জন্য ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী চেষ্টা করবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। ওই চুক্তিতে, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করার কথা বলা হয়।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বোরিস জনসনের দফতর থেকে বলা হয়, সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রী জনসন, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টানের সঙ্গে যখন সাক্ষাৎ করবেন তখন তাদের আলোচ্য সূচীতে যে সব বিষয় অগ্রাধিকার পাবে, ইরান তার মধ্যে অন্যতম।
ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইরানের সঙ্গে ওই চুক্তি করে। তখন অভিযোগ ছিল যে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার কার্যক্রম আছে। ইরান অবশ্য বার বার ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে ১২ই মে’র মধ্যে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন ওয়াশিংটন ওই চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট থাকবে কিনা। তিনি বলেন চুক্তি সংশোধন না করা হলে তিনি তা থেকে প্রত্যাহার করবেন। ওই সংশোধনীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম সীমিত করার প্রস্তাব। ইরান সব সময়ই বলে এসেছে সেটি প্রতিনিবৃত্তকরণ বা প্রতিরক্ষামূলক প্রতিবন্ধকের ব্যবস্থা।