দেশের আর্থিক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, প্রতি বছর রাজকোষ থেকে যে এক লক্ষ কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়া হয়, তার বেশিটাই ধনীদের উপকারে আসে। ভর্তুকি দেওয়া হয় কেরোসিন, রান্নার গ্যাস, বিদ্যুত, রেলের যাত্রী ভাড়া, বিমানের জ্বালানি, সোনার গয়নার ওপর কম হারে শুল্ক ইত্যাদিতে। এমনকি, সঞ্চয়ের জন্য যে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড রয়েছে, তার ওপর আয়কর নেয় না সরকার। কিন্তু এই সঞ্চয় প্রকল্পে ধনীরাই টাকা জমান বলে ওই সমীক্ষাতে দাবি। চাষের ফলন বাড়াতে যে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়, সেখানেও ভর্তুকির সিংহ ভাগই ধনী চাষীদেরই উপকারে লাগে। তবে কি আগামী সোমবার সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের জন্য যে বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রি অরুণ জেটলি, তাতে এই ভর্তুকিগুলি প্রত্যাহারের কথাই ঘোষণা করা হবে? হতেই পারে। তবে তেমন সিদ্ধান্ত যে মোটেই জনপ্রিয় হবে না, তাতে সন্দেহ নেই। পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে কি তেমন ঝুঁকি নেবে নরেন্দ্র মোদি সরকার?