বস্তুত জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ হচ্ছে পৃথিবির সপ্তম বৃহত্তর দেশ। সম্প্রতি জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক তহবিল সংগঠন বা UNFPA তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা হচ্ছে ১৬ কোটি ৪৪ লক্ষ। তারা বলছে যে গত এক বছরেই সেখানে জনসংখ্যা বেড়েছে ২২ লক্ষ। তবে বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা রুহুল হক দু জনই UNFPA র এই প্রতিবেদনে প্রকাশিত সংখ্যা সম্পর্কে কড়া আপত্তি জানিয়েছেন। তারা বলছেন যে আগামি বছর সেখানে আদমশুমারি হবার আগেই সংস্থাটি এই সংখ্যা কি ভাবে নিরুপণ করলো । তবে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রী ড আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন যে এই সংখ্যা ভয়াবহ এবং তিনি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাবার কারণে , জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছেন। তবে জনসংখ্যার বৃদ্ধিই বলুন , বিস্ফোরণই বলুন এটি যে বাংলাদেশের মতো প্রায় ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের ঐ বদ্বীপাঞ্চলের জন্যে একটা বড় রকমে হুমকি সে কথাতো আমরা শুনে আসছি সেই ষাটের দশক থেকেই। আজকের অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের প্রশ্ন আর আমাদের বিশেষজ্ঞদের আলোচনার মাধ্যমেই আমরা এ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট আরো বিষয়গুলো জেনে নিচ্ছি।
আজ টেলি সম্মিলনি লাইনে আমাদের সঙ্গে ঢাকা থেকে যোগ দিয়েছেন , জনসংখ্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশান সাইন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড এ কে এম নুরুন্নবী । ড নুরুন্নবী আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমাদের আজকের এই অনুষ্ঠানে। আজ নিউইয়র্ক থেকে যোগ দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউ এন ডি পি ‘র , পোভার্টি প্র্যাক্টিস বিষয়ক পরিচালক ড সেলিম জাহান।
বাংলাদেশে জনসংখ্যা বিষয়ক এই কল ইন শোতে শ্রোতাদের প্রশ্নের জবাবে আমাদের অতিথিরা বাংলাদেশে জনসংখ্যা সমস্যার স্বরূপ, প্রকৃত জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত , জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব হ্রাসের সাম্প্রতিক কারণ , জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অবকাঠামো , খাদ্য ও আবাসন ক্ষেত্রে সমস্যা এবং এই সব সমস্যা সমাধানের জন্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে জনসংখ্যা –ব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করেন।