অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প-ট্রুডোর সম্পূর্ন ভিন্ন মত


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মধ্যে অভিবাসন বিষয়ে সম্পূর্ন ভিন্ন মত লক্ষ্য করা গেছে। ডনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে কঠোর ব্যবস্থার প্রশংসা করেন। এবং জাস্টিন ট্রুডো সিরিয়ার উদ্বাস্তুদের তার দেশে স্বাগত জানানোকে সফলতা বলে দাবি করেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী সিরিয়ার ৪০ হাজার উদ্বাস্তুকে স্বাগত জানিয়েছেন। অন্যদিকে ডনাল্ড ট্রাম্প, সন্ত্রাসী হামলার ইতিহাস রয়েছে এমন সাতটি মুসলিম দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সফর সাময়িক ভাবে বন্ধ এবং শরণার্থী কর্মসূচি স্থগিত করার উদ্যোগ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

হোয়াইট হাইসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যকার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত যেখানে সিরিয়ার উদ্বাস্তুরা রয়েছেন, সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমরা কখনোই সম্পূর্ন আত্মবিশ্বাসী হতে পারি না।“

অপরাধের রেকর্ড রয়েছে এমন অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক অভিযান প্রসংগে ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমরা তাদের খুঁজে বের করবো। আমি তাই করছি, যা আমি বলেছিলাম। আমরা অপরাধী ও মাদক চক্রের নেতা এবং খারাপ মানুষকে ধরবো। মানুষ অনেক অনেক খুশি হবে।“

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে যে ৬৮০ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশের অপরাধের রেকর্ড রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, কানাডায় আশ্রয় নেয়া উদ্বাস্তুরা বেশ সফল এবং এর মধ্য দিয়ে আমাদের মিত্ররা বুঝতে পেরেছেন যে, আমরা যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ থেকে উদ্বাস্তুদের স্বাগত জানাই।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, সোমবার প্রথমবারের মত হোয়াইট হাউসে বাণিজ্য ও অভিবাসন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যকার বাণিজ্য দুই নেতারা অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল বলে ধারনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নেতা কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত ১৯৯৪ সালের উত্তর আমেরিকা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের আরো অনুকূলে থাকে, তার জন্য ঐ চুক্তি নিয়ে পুন:দরাদরি বা বাতিল করতে চান।

বাণিজ্য সম্পর্ক উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ন। কানাডার মোট রপ্তানীর ৭৫ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্রে। আর যুক্তরাষ্ট্রের মোট রপ্তানীর ১৮ শতাংশ যায় কানাডায়।

XS
SM
MD
LG