ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ত্রিপুরায় শিশুচোর সন্দেহে গণরোষের শিকার হলেন তিন ফেরিওয়ালা । সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে রুটি রুজির সন্ধানে দেশের আরেক দুই রাজ্য উত্তর প্রদেশ ও বিহার থেকে ত্রিপুরায় এই তিন ফেরিওয়ালা গিয়েছিলেন জীবন জীবিকার খোঁজে। জানা যাচ্ছে প্রচণ্ড মারে এক জনের মৃত্যু হয়েছে, গুরুতর আহত হয়েছেন দুই জন।সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর পশ্চিম ত্রিপুরার মুরাবাড়ি জেলায় ঘটেছে এই ঘটনা। ওই তিন ফেরিওয়ালারা মুরাবাড়িতে আসেন। স্থানীয় বিত্তারবান বস্তি থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করেন তাঁরা। কিন্তু সাধারণ মানুষের সন্দেহ হয়, তাঁরা শিশু চুরির উদ্দেশে এসেছেন, তাঁরা তাঁদের মারতে শুরু করেন।ওই তিন জন ও তাঁদের গাড়ির চালক ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের ছাউনিতে আশ্রয় নেন। কিন্তু হাজারখানেক লোক তাড়া করে ছাউনিতে ঢুকে পড়ে, পিটিয়ে মারে এক জনকে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় জওয়ানরা শূন্যে দুই রাউন্ড গুলি চালায় ও চার টি কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে জনতাকে সরিয়ে দেন। ততক্ষণে এক জনের মৃত্যু হয়ে যায় এবং গুরুতর জখম হন অন্য দুই ফেরিওয়ালা, তাঁদের গাড়ির চালক ও এক পুলিশ কনস্টেবল। তাঁদের স্থানীয় জি বি পন্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর গুজব ছড়ানো রুখতে গোটা এলাকায় আটচল্লিশ ঘণ্টার জন্য সব মোবাইল ফোনে এসএমএসের সুবিধে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, দেখা যাচ্ছে, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারের মত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ভুয়ো খবর ও ছবি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে, যার ফলে আরও বড় আকারে হিংসা ছড়াতে পারে।
কলকাতা সংবাদদাতা পরমাশিষ ঘোষ রায়ের রিপোর্ট।