অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীন-ভারত কমান্ডার বৈঠক শুরু, লাদাখকে ঘিরে সীমান্তে উত্তেজনা


চীন ও ভারত সীমান্তে ১৩ তম বার বৈঠকে বসলেন দুই দেশের কর্মকর্তারা- ফটো - দ্য ওয়াল
চীন ও ভারত সীমান্তে ১৩ তম বার বৈঠকে বসলেন দুই দেশের কর্মকর্তারা- ফটো - দ্য ওয়াল

চীন ও ভারত কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠক শুরু হল চুসুল-মলডো সীমান্তে। এই নিয়ে ১৩ তম বার বৈঠকে বসলেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বৈঠক শুরু হয়েছে। এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে দুই দেশই।

চীন-ভারত বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। পূর্ব লাদাখের গোগরা, হট স্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরলেও ফের সীমান্তের কাছে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে চীন। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। পাহাড়ি ফিঙ্গার এলাকা ও গোগরার কাছে এখনও সক্রিয় চীন সেনাবাহিনী। অস্ত্রশস্ত্র মজুত করে রাখা হয়েছে। নতুন করে অধিকারের সীমা লঙ্ঘন করে ভারতীয় নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় চীন যে হামলা চালাতে পারে, সে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই প্রেক্ষাপটেই এদিন শুরু হয়েছে বৈঠক।

সামরিক স্তরে দফায় দফায় বৈঠকের পরেও সীমান্ত সমস্যার সমাধানে এসে পৌঁছতে পারেনি ভারত ও চীন দুই দেশই। বরং সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে শান্তি বজায় রাখার যে আলোচনা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে তার মর্যাদা ভেঙেছে চীনই। নতুন করে আগ্রাসনের চেষ্টা দেখিয়েছে তারা। যার কারণে রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে লাদাখ সীমান্তে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা তথা এলএসি-তে কীভাবে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা যায় সেই নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর। সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার জন্য আলোচনা চলছে দু’তরফেই।

প্যাঙ্গং থেকে সেনা সরলেও পূর্ব লাদাখের সবকটি স্পর্শকাতর এলাকা থেকে চীন যে সেনা সরায়নি সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন সেনাপ্রধান। সেই সঙ্গেই তিনি সাফ জানিয়েছেন, দুই দেশই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে তখনই আসবে যখন বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা হবে। লাদাখে সীমান্তে কোনও রকম বদল মেনে নেবে না ভারত। চীন আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ভারতও তার যোগ্য জবাব দেবে। গত ৩১ জুলাই শেষবার বৈঠকে বসেছি চীন-ভারত। তারপর ১৩ নম্বর বার আবার বৈঠক চলছে রবিবার সকাল থেকে।

XS
SM
MD
LG