চীন বলছে যে উত্তর কোরিয়ার সর্বসাম্প্রতিক পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে , দেশটির বিরুদ্ধে জাতিসঙঘের নেওয়া আরো পদক্ষেপকে সে সমর্থন করবে। বেইজিং এ এক সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই বলেন যে কোরীয় উপদ্বীপে নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়ায় , এই সংকট মোকাবিলার জন্য জাতিসংঘের দ্রুত সাড়া দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
তবে ওয়াং এ কথা ও জোর দিয়েই বলেন যে নিষেধাজ্ঞা এবং চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি পিয়ংইয়ং সরকারের সঙ্গে সংলাপ ও আলোচনার প্রচেষ্টা ও অব্যাহত রাখতে হবে। চীন হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার সব চেয় বড় কুটনৈতিক ও অর্থনৈতিক মিত্র দেশ এবং মনে করে যে দেশটির উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ কোরীয় উপদ্বীপে উ্ত্তেজনা হ্রাসে তেমন সহায়ক না ও হতে পারে।
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার উপর নতুন নিষেধজ্ঞা আরোপের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে একটি খসড়া বিতরণ করেছে এবং সোমবার নাগাদ এ ব্যাপারে ভোট নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
ভয়েস অফ আমেরিকায় প্রাপ্ত সেই খসড়ায় উত্তর কোরিয়ার কাছে তেল , পরিশোধিত পেট্রলিয়াম এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানানো হয়েছে। পিয়ং ইয়ং তার তেল এবং গ্যাসের প্রায় সব টুকুই চীন থেকে আমদানি করে এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে তা নিষিদ্ধ হলে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের ঐ খসড়া প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়ার বস্ত্র শিল্প রপ্তানি হ্রাসের ও লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।