অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউরোপ যেভাবে দেখছে হিলারি ও ট্রাম্পকে- লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট


ইউরোপ যেভাবে দেখছে হিলারি ও ট্রাম্পকে

নির্বাচন এখনও শেষ হয়নি। হিলারি কিংবা ট্রাম্প কে হবেন প্রেসিডেন্ট তাও নিশ্চিত নয়। এর মধ্যেই ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে, মিডিয়ায়।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা ও ইউরোপীয় কাউন্সিলের গবেষণা পরিচালক জেরেমি সাপিরো এই নির্বাচনের ওপর নজর রাখছেন খুব কাছে থেকে। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল গোটা আটলান্টিক বিস্তৃত মহাদেশটিজুড়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব বয়ে আনতে পারে। মার্কিন নির্বাচনের প্রভাবে অবশ্য ইতোমধ্যে এ অঞ্চলটি এক প্রগাঢ় এবং অস্থিতিশীল পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করছে।
তিনি অবশ্য বলেন, প্রতিক্রিয়া যেটা হবে, ইউরোপ তা মোকাবিলা করতে পারবে। ইউরোপীয় সরকারগুলোর মধ্যে এক অদ্ভুত আস্থার জায়গা সৃষ্টি হয়েছে যে, তারা না চাইলেও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে তা সামলে নিতে পারবে।
প্রত্যেক ইউরোপীয় সরকার প্রকাশ্যে বা অন্যভাবে এই মনোভাবই ব্যক্ত করেছেন যে, তারা হিলারি ক্লিনটনের বিজয় দেখতে চান। একমাত্র ব্যতিক্রম হচ্ছেন হাঙ্গেরির দক্ষিণপন্থি জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান। যিনি মিস্টার ট্রাম্পের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। ইউরোপের প্রায় সকল বিরোধী দল হিলারির প্রতি, অন্যদিকেনেদারল্যা-ের গার্ট উইল্ডার্স, বৃটেনের নাইজেল ফারাজ এবং ফ্রান্সের ম্যারি লি পেনের মতো কতিপয় জাতীয়বাদী নেতারা ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন। বেশিরভাগ ইউরোপীয় নেতা মনে করেন, হিলারি ক্লিনটন তাদের কাছে অনেক চেনা-জানা। তিনি প্রেসিডেন্ট হলে যে বিদ্যমান ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন সেটাই ইউরোপীয় নেতাদের কাছে আকর্ষণীয়।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাবেক কর্মকর্তা সাপিরো অবশ্য মনে করেন, ক্লিনটনের চ্যালেঞ্জগুলো দৈনন্দিন রুটিন মাফিক। কিন্তু ট্রাম্পের চ্যালেঞ্জগুলো অস্তিত্বগত। কারণ ট্রাম্প বলেছেন, তিনি মনে করেন না যে, ইউরোপীয় জোটের আদৌ কোন দরকার রয়েছে।

লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী

please wait
Embed

No media source currently available

0:00 0:01:09 0:00

XS
SM
MD
LG