ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে মুসল্লিদের কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও মাদ্রাসা ছাত্রদের বিক্ষোভে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ চার জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় সারা দেশে বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে হেফাজত কর্মীরা বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন।
ওদিকে জুমার নামাজের পর মোদি বিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকা। সেখানে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লি ও বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের অন্তত ৫৫ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন। বেলা দেড়টা থেকে শুরু হয়ে থেমে থেমে কয়েক ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে।
জুমার নামাজের পর মুসল্লিরা বিক্ষোভ শুরু করার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এসময় কিছু যুবক লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা করে। প্রতিবাদকারীরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। হামলার কারণে আহত অনেকে মসজিদের ভেতরে আটকা পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। জলকামান নিয়ে টহল দিতে দেখা যায়।
ওদিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদ্রাসা ছাত্রদের ওপর হামলার খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ করেছেন মাদ্রাসা ছাত্ররা। বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে শহরের বিভিন্নস্থানে মাদ্রাসা ছাত্রদের বিক্ষোভ শুরু হয়। লাঠিসোঠা নিয়ে তারা শহরের প্রধান সড়কের টিএ রোড, কুমারশীল মোড় এবং ভাদুঘরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এসময় বিভিন্ন স্থাপনার ওপর হামলা চালানো হয়। রেলষ্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় শহরের প্রধান সড়ক এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।