চীনে করোনাভাইরাসে প্রতিদিন মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চীন থেকে তাদের নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত নিয়ে যাচ্ছে।চীনের বিভিন্ন প্রদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী রয়েছেন। এদের অনেকেই দেশে ফিরতে চান।
মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা।এর মাঝেই সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন অনেকে। চীনের অধিকাংশ শহর লকডাউনের আওতায় রয়েছে।গত এক মাসে জনবহুল চীনের পুরো চিত্র পাল্টে গেছে।মারা গেছেন সেই চিকিতসক যিনি প্রথম এই করনাভাইরাসের কথা জানিয়েছিলেন। পুরো পৃথিবীজুড়ে এক আতংক সৃষ্টি করেছে করনাভাইরাস। প্রমোদতরি করে ভ্রমনে যাওয়া পর্যটকরাও আটকা পড়েছেন। সেখানেও সংক্রমিত হয়েছেন অনেকে।
চীনের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা। চীনের হুবেই, গুয়াংডং, জিয়াংসু, ফুজিয়ান, তিয়াঞ্জান প্রদেশ ছাড়াও অন্যান্য প্রদেশের ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন অনেক বাংলাদেশী। করোনাভাইরাসের কারণে তারা তাদের ডরমিটরিতে এক প্রকার অবরুদ্ধ আছেন।এই সংকটের মাঝে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সরকার চীনের উহান থেকে ৩১২জনকে দেশে ফেরত নিয়ে গেছে।সে সময় অনেক শিক্ষার্থী দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করে দেশে ফেরত যাননি। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হওয়াতে তারা এখন দেশে ফিরতে চাইছেন।
চীনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন তাপমাত্রা উষ্ণ হলে এই সংক্রমণ কমে যেতে পারে। তবে অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যেহেতু এই ভাইরাসটি একেবারেই নতুন তাই আগে থেকে বলা যাচ্ছেনা আগামীতে কি হবে।