অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশের কক্সবাজারে ভূমিধসের ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে


টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারে ভূমিধসের ঘটনা বেড়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে রয়েছে ৩ লক্ষাধিক স্থানীয় অধিবাসী ও ২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এদের সনাক্ত করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ স্থানে। ইতোমধ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা ও ৫ শতাধিক স্থানীয় অধিবাসীকে। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বৃষ্টিতে যে ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হয়েছিল, সরকারী এবং উন্নয়ন সংস্থার পদক্ষেপে তা অনেকটা প্রতিরোধ করা গেছে।

নজরদারী সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, চলতি বর্ষায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভূমিধসে ১ শিশুর মৃত্যুসহ পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা আহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অন্তত ৬ শতাধিক বসতি। রোহিঙ্গাদের মধ্যে বড় ধরণের কোন প্রাণহানীর ঘটনা না ঘটলেও গত বুধবার কক্সবাজারে পাহাড় ধসে স্থানীয় ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত ৮বছরে কক্সবাজার জেলায় পাহাড় ধসে অন্তত ২৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেবল ২০১০ সালের ১৫ জুন পাহাড়ধসে একদিনেই মৃত্যু হয়েছিল ৫৮ জনের।

বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের কুতুপালং বর্ধিত ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। ছবি: ভিওএ
বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের কুতুপালং বর্ধিত ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। ছবি: ভিওএ

বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের কুতুপালং বর্ধিত ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। ছবি: ভিওএ
তাই এবার- এরকম বড় ধরণের কোন ভূমিধসে প্রাণহানী এড়াতে সক্রিয় স্থানীয় প্রশাসন ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো। শনিবার কক্সবাজারের লিংকরোড় মুহুরীপাড়ার শতাধিক পরিবারকে ফাঁটল সৃষ্টি হওয়া একটি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন। আর ক্যাম্প-২০ নামক কুতুপালং বর্ধিত ক্যাম্পে নতুন বসতি প্রস্তুত করা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার রোহিঙ্গাদের জন্য। কোথাও কোন রোহিঙ্গা পরিবার ঝুঁকির মুখোমুখী হলেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনেকটা নিরাপদ ও মজবুত করে তৈরি করা নতুন এই বর্ধিত ক্যাম্পটিতে। জানাচ্ছেন - মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিল, ভয়েস অব আমেরিকার সংবাদদাতা , কক্সবাজার থেকে ।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:01 0:00

XS
SM
MD
LG