কমিটি টু প্রটেক্ট জার্ণালিস্টস (সিপিজে) বরাবরই বাংলাদেশে ব্লগার হত্যার নিন্দা জানিয়ে, তার সঠিক বিচারের দাবী করে থাকে।
সিপিজের এশিয়া বিভাগের সিনিয়ার গবেষণা সহকারী - সুমিত গালহোত্রা আমাদের বলেন, ‘সে দেশে যারাই সমালোচনা করছেন, একের পর এক সেই কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে তাদের হ্ত্যা করা হচ্ছে। দেশে একধরণের মেরুকরন ঘটছে। যখন রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে ইসলামকে গ্রহণ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, সংবিধানে ইসলামকে গুরত্বের সঙ্গে সংযোজন করার কথা বলা হচ্ছে। এবং আরও অনেক বিষয়ে বিতর্ক চলছে সেই সময়ে ব্লগাররা একটি গণতান্ত্রিক দেশে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করে থাকেন। এবং সরকার প্রতিটি মৃত্যুর পর কোন কিছুই তেমন করছেন না, এ ক্ষেত্রে তারা যে কেন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না, সেটা আমরা কিছুই দেখছি না’।
বাংলাদেশে ২০১৩ সাল থেকে গতকাল নাযিমুদ্দিন সামাদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এই নিয়ে যে ৬জন ব্লগার ও একজন প্রকাশক উগ্রবাদীদের হাতে নিহত হয়েছেন, সিপিজে এখন পর্য্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানে? সুমিত গালহোত্রা বলেন, ‘আমরা ২০১৫ সালের শেষের দিকে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি দেখেছি। ২০১৩ সালে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে যে হত্যা করা হয়েছিল সেই রাজীব হত্যার বিচার করা হয়। এটি ছিল একটি ক্ষুদ্র অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ। যদিও তার পরিবার এতে খুব সন্তুষ্ট হয়নি। তবে শুধুমাত্র ২০১৫ সালেই ৪জন ব্লগার ও একজন প্রকাশক নিহত হন। আমরা এখনও কোন বিচার দেখতে পাইনি। এভাবে হত্যাকারীরা এই ইঙ্গিতই পাবে যে তারা গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠ, যারা সমালোচনা করছেন, তাদের হত্যা করে পার পেয়ে যাবে।’
সিপিজে বংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচারের দাবী জানায়।