অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মেরিন ড্রাইভে ক্রসফায়ার নিয়ে তুমুল বিতর্ক


কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ। সাগর আর পাহাড়ের মাঝে অপূর্ব এই সড়ক। সড়কটিতে নিজের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই ভিডিও ধারণ করছিলেন সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিও ধারণের সময় ডাকাত সন্দেহে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় কিছু মানুষ। এরপর কক্সবাজার ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

এই ঘটনায় ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে পরদিন মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ। এজাহারে উল্লেখ করা হয়- পুলিশ আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালিয়েছিল।

কিন্তু প্রকৃত ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে সৃষ্টি হয় তুমুল বিতর্ক। তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। প্রত্যাহার করে নেয় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয় ৫ আগষ্ট।

নিহত সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

৫ আগষ্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ। কক্সবাজারে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন উভয় বাহিনীর প্রধান।

মেরিন ড্রাইভে ক্রসফায়ারের ঘটনা বৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে “ক্রসফায়ার” শব্দ নিয়ে আপত্তি তুলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক।

তবে ঘটনাটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন দুজনেই। এই ঘটনা উভয় বাহিনীর মধ্যকার সুসম্পর্কে চিড় ধরবেনা উল্লেখ করে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন সেনা প্রধান।

পুলিশ ও মানবাধিকার সংস্থার তথ্য মতে, ২০১৮ সালের মে মাস থেকে গত জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজারে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ২৮৭ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে মেরিন ড্রাইভে।

মেরিন ড্রাইভে ক্রসফায়ার নিয়ে তুমুল বিতর্ক
please wait

No media source currently available

0:00 0:03:11 0:00

XS
SM
MD
LG